লন্ডন: প্রায় বাস্তবের মতো দেখতে সিলিকন দিয়ে তৈরি এমন শিশু আকৃতির সেক্স ডল আমদানি বেড়েছে ব্রিটেনে৷ যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য পুতুলের মালিক হওয়া ব্রিটেনে বেআইনি নয়, তবে আমদানির ওপর রয়েছে নিষেধাজ্ঞা৷
শিশু আকৃতির সেক্স ডল যারা আমদানি করছেন, তাদের ধরপাকড় শুরু করেছে ব্রিটিশ পুলিশ৷ ঐতিহাসিক এক রায়ে ৭২ বছর বয়সি এক স্কুল গভর্নরের শিশু সেক্স ডল আমদানি করাকে ‘অশ্লীল’ ও ‘কুরুচিপূর্ণ’ বলে আখ্যা দেয়া হয়৷ এরপরই দ্য ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিল৷
সেক্স ডল বিষয়ে ব্রিটেনে কোনো আইন নেই৷ কিন্তু ‘অশ্লীল’ বা ‘কুরুচিপূর্ণ’ জিনিস আমদানি করায় আছে কড়াকড়ি৷
এনসিএর শিশু নির্যাতন রোধ ও অনলাইন সুরক্ষা দল বলছে, শিশু সেক্স ডল তুলনামূলকভাবে একটি নতুন ঘটনা৷ এক বিবৃতিতে দলটির হ্যাজেল স্টুয়ার্ট বলেন, ‘‘আমরা জানি এই ঘটনা শিশুদের বিরুদ্ধে অন্য অপরাধের ইঙ্গিত দেয়৷ মামলার বাদির কাছে শিশু নির্যাতনের বেশকিছু নোংরা ছবিও পাওয়া গেছে৷”
“এই ধরনের জিনিস যারা আমদানি করছেন তাদের জেনে রাখা উচিত, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের জাল গুটিয়ে আনছে৷” এই পুতুলগুলো সিলিকন দিয়ে তৈরি, ওজন ২৫ কেজির মতো
যুক্তরাজ্যের সীমান্তরক্ষা বাহিনী দেশটির গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, গত বছরের মার্চ মাস থেকে তারা এ ধরনের ১২৩টি পুতুল আটক করেছে৷ এই পুতুলগুলো সিলিকন দিয়ে তৈরি, ওজন ২৫ কেজির মতো এবং যৌনকাজ করার মতো করেই তৈরি করা৷ এর বেশিরভাগই তৈরি হয়েছে চীনে এবং কেনা হয়েছে অনলাইনে৷
ব্রিটিশ গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত সাত জনের বিরুদ্ধে সেক্স ডল আমদানির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে, এর মধ্যে একজনের হয়েছে কারাদণ্ড৷
এই ধরনের পুতুলের উৎপাদন, বিতরণ এবং নিজের কাছে রাখার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে এনসিএ৷
“শিশুর আকৃতির সেক্স ডল ব্যবহার করলে সত্যিকার বাস্তব জীবনে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন বন্ধ হবে, এমন ধারণার পক্ষে এখনও কোনো যুক্তি মেলেনি”, এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছেন এনএসপিসিসির উন্নয়ন বিভাগের প্রধান জন ব্রাউন৷
“বরং এমনটা হতে পারে যে এই ধরনের পুতুল বা সরঞ্জাম ব্যবহারের ফলে এমন ব্যবহার তাদের কাছে একসময় স্বাভাবিক লাগতে শুরু করবে৷ তখন তারা বাইরে গিয়ে সত্যিকার শিশুদের সাথেও এমন ব্যবহার করা শুরু করবে৷ যারা কুরুচিপূর্ণ ছবি দেখে, তাদের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়৷”
শিশুদের জন্য দাতব্য সংস্থা বার্নার্ডোও এ ধরনের সরঞ্জাম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে৷
“বার্নার্ডোর বিশেষজ্ঞরা যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুদের খুব কাছ থেকে দেখেছেন, তারা জানেন শিশুদের কী ভয়াবহ অবস্থার শিকার হতে হয়”, একই বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী জাভেদ খান৷ ডিডব্লিউ
পাঠকের মতামত: